রহমত নিউজ ডেস্ক 05 December, 2023 04:37 PM
দেশে চলমান হরতাল ও অবরোধের নামে যে জ্বালাও পোড়াও, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ চলছে, তা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন হিজড়া জনগোষ্ঠী। একইসঙ্গে যারা এসব জ্বালাও পোড়াও করে, তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হোপ অ্যান্ড পিস ওয়েলফেয়ার অর্গানাজেশন, সুস্থ জীবন, পদ্মকুড়ি হিজড়া সংঘ, সচেতন হিজড়া অধিকার যুব সংঘ, শান্তির নীড় হিজড়া সংঘের যৌথ আয়োজিত মানববন্ধন করে এসব দাবি জানান হিজড়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ফর্টি আপ বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা ইভানা আহমেদ কথা, শান্তির নীড় হিজড়া সংঘের চেয়ারম্যান হুররাম হিজড়া, সুস্থ জীবনের সভাপতি পার্বতী হিজড়া, সদস্য জোনাকি জোনাক হিজড়া, পদ্মকুড়ি হিজড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক মিতু হিজড়া, সচেতন হিজড়া অধিকার যুব সংঘের রবি হিজড়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে হোপ অ্যান্ড পিস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক হিজড়া রানী চৌধুরী বলেন, বর্তমানে হরতালের নামে যে জ্বালাও পোড়াও চলছে, তা আমরা চাই না। কারণ, আমরাও কাজের জন্য বের হই। জ্বালাও পোড়াওয়ের কারণে আমাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। এ জন্য আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। জ্বালাও পোড়াওয়ের কারণে প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি পরিবার ক্ষতগ্রস্ত হচ্ছে। এটা যেনো আর না হয়, সেজন্য আমরা আজ মানববন্ধন করছি। আন্দোলনের নামে যাতে আর সংঘাত না হয়, সবাই যেনো সুস্থভাবে বাড়ি থেকে বের হতে পারে, সুস্থভাবে বাসায় ফিরে যেতে পারে। দেশের কোনও মানুষ এই জ্বালাও পোড়াও চায় না। এতে দেশের মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। আগে আমাদের কোনও সম্মান ছিল না, ভোট দিতে পারতাম না। সারা দেশে আড়াই থেকে তিন লাখ হিজড়া রয়েছেন। বর্তমান সরকার আমাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ভোটের অধিকার দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে। আমরা চাই, সবাই যেনো আমাদের সম্মান করে, যেভাবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সম্মান দিয়েছেন। আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রতিটি অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
জাতীয় সংসদে হিজড়াদের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে একজন প্রতিনিধি দেওয়ার দাবি জানিয়ে হিজড়া রানী চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা সেখানে আমাদের জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধিকে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে চাই। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের কথা শুনবেন, যাতে সংসদে আমরা কথা বলতে পারি। একজন নারী ধর্ষণের শিকার হলে সে আদলতে বিচার পায়। কিন্তু একজন হিজড়া ধর্ষণের শিকার হলে আদালতে বিচার পাচ্ছে না। কেন আমরা একজন নাগরিক হিসেবে বিচার পাবো না? আমাদের অধিকার পাবো না? খুব সুন্দর নির্বাচনের আবহাওয়া বইছে। আমরা আমাদের ভোটগুলো নৌকাকে নিশ্চিত করতে চাই। এই সরকারের আমলে যেহেতু আমরা এত সম্মান পেয়েছি, তাই আমরা আমাদের ভোট নৌকায় দেবো। প্রধানমন্ত্রীকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমরা কোনও নাশকতা চাই না।